28/01/2025
আর্থিকভাবে আত্মনির্ভর হওয়াটা সবসময়ই আপনাকে একটা ভিন্ন আনন্দ দেবে। সে আপনি যে চাকরিই করুন না কেনো, একটি মুদীর ব্যবসা চালান, কাপড়ের দোকান চালান, হাঁস-মুরগীর খামার চালান, বা একটি গরুর খামারই চালান না কেনো।
আপনি কি একটি গরুর খামার করার কথা ভাবছেন এবং আপনার বিনিয়োগ কম? যদি তাই হয়, আপনার এই আর্টিকেলটি খুব ভালো লাগবে কারণ আমরা এখানে আপনি কিভাবে স্বল্প বিনিয়োগে বাংলাদেশে একটি গরুর খামার শুরু করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
বাংলাদেশে কি গরুর খামার লাভজনক?
বাংলাদেশ জুড়ে প্রায় ১৫,০০,০০০ গরুর খামার আছে। পশুসম্পদ সেবা বিভাগের মহা-পরিচালক আব্দুল জব্বার ১০ই জানুয়ারী ২০২১ সালে বলেছেন যে, এ খামারগুলোর মধ্যে মাত্র ৬টি বড় মাত্রার।
আমাদের দেশী জাতের গরুগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কম এবং প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৫ লিটার দুধ দেয় । আপনি যদি নতুন জাতের গরু পালন করতে পারেন, সেগুলো প্রতিদিন প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লিটার দুধ দিতে সক্ষম। গবেষণা বলছে যে, গরুর দুধ ছাড়ানো হার প্রায় ৮৫% অর্থাৎ আপনি আশা করতে পারেন যে, গরুর মধ্যে প্রায় ৮৫% বাছুরকে দুধ ছাড়ানো হয় এবং বিক্রি করা হয়। এসব ধারণার ওপর ভিত্তি করে এবং দুধ ছাড়ানোর হার হিসাব করার পর, একটি বাছুর থেকে রাজস্ব আসে গড়ে প্রায় ৫৭,৭৯৭ টাকা।
খামারীরা তাদের গরুর জন্য মোট পরিমাণ খাবার পায় বেশ উঁচু দামে। সেজন্য বাংলাদেশে গরুর খামার উৎপাদনের ওপর লাভ খুবই কম। তবুও, দেশে দুধের দাম বেশ চড়া তাই এই দেশে গরুর খামার গড়ের ওপর লাভজনক।
আবার, বাংলাদেশে (গবাদি পশু এবং হাঁস-মুরগীসহ) মাংসের বার্ষিক চাহিদা হলো ৭.৩ মিলিয়ন টন। বাংলাদেশ আবার এর উৎপাদনের উদ্বৃত্ত পরিমাণ রপ্তানী করে। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসা সংঘের প্রেসিডেন্ট ফরিদ আহমেদের মতে, বাংলাদেশ প্রতি বছর হাড়, মাংস, অন্ত্র, চামড়া, এবং শিং বিদেশে রপ্তানী করে ৬০,০০০ থেকে ৭০,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে, যদি গবাদি পশুগুলো ভালোভাবে লালন পালন করা হয় এবং পণ্যগুলো ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
সেজন্য, সর্বোপরি, আপনি গরুর খামারকে বাংলাদেশে লাভজনক বলতে পারেন।