05/08/2025
ক্ষুরারোগ (Foot-and-Mouth Disease - FMD) একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এবং শুকরের মতো খুরযুক্ত প্রাণীদের আক্রান্ত করে। বাংলাদেশে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণিস্বাস্থ্য সমস্যা।
---
✅ ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়সমূহ
১. নিয়মিত টিকাদান (Vaccination)
আক্রান্ত এলাকার সব গবাদিপশুকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টিকা দেওয়া।
সাধারণত বছরে ২ বার (প্রতি ৬ মাসে) টিকা দিতে হয়।
স্থানীয়ভাবে বিদ্যমান ভাইরাসের সিরোটাইপ অনুযায়ী টিকা নির্বাচন করা জরুরি।
২. আক্রান্ত পশু বিচ্ছিন্নকরণ (Isolation)
আক্রান্ত পশুকে অবিলম্বে সুস্থ পশুদের থেকে আলাদা করতে হবে।
কমপক্ষে ২ সপ্তাহ আলাদা রাখতে হবে।
৩. জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Biosecurity Measures)
খামারে প্রবেশের আগে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত, পা ও সরঞ্জাম ধুয়ে নিতে হবে।
বাইরের লোক, গাড়ি ও পশুদের খামারে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
খামার, গোয়ালঘর, পানির পাত্র এবং খাওয়ার জায়গা নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা।
সংক্রমণ ছড়ানো প্রতিরোধে আক্রান্ত পশুর লালা, বর্জ্য ও মলমূত্র সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা।
৫. আক্রান্ত পশুর সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা
যদিও ক্ষুরারোগের নির্দিষ্ট ওষুধ নেই, তবে উপসর্গ উপশমে নিচের পদক্ষেপ নেওয়া যায়:
মুখ ও পায়ের ঘা পরিষ্কার করা
এন্টিসেপ্টিক প্রয়োগ
ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া
ভিটামিন ও সাপোর্টিভ থেরাপি
৬. খামারের বাইরে থেকে নতুন পশু আনার সময় কোয়ারেন্টাইন (Quarantine)
নতুন পশুকে অন্তত ১৪ দিন আলাদা রেখে পর্যবেক্ষণ করা।
৭. সরকারি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি অনুসরণ
পশুপালন অধিদপ্তরের (DLS) নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা।
স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।