13/05/2025
৫ মাসের বাচ্চা বিড়ালটিকে রড দিয়ে নির্মম ভাবে পেটালো Grameenphone কর্পোরেট দম্পতি ও তাদের গৃহকর্মী!
আজকের দিনটি ইলমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক ও কষ্টদায়ক একটি দিন হয়ে থাকবে। রাজধানীর অভিজাত এলাকা বসুন্ধরা রেসিডেনসিয়াল এরিয়াতে ঘটে যাওয়া এক নির্মম ঘটনার শিকার হয়েছে তার ৫ মাস বয়সী আদরের বিড়ালটি। একটি ছোট্ট, নিরীহ প্রাণী—যাকে ইলমা রাস্তায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন, যাকে স্নেহে বড় করে তুলছিলেন, আজ তাকে প্রায় মেরে ফেলা হলো।
ঘটনা ঘটেছে দুপুর ২:৩০টার দিকে। ইলমার ছোট ভাই স্কুল থেকে ফিরে একটি বিড়ালের করুণ কান্নার শব্দ শুনে তাকে জানায়। আতঙ্কিত ইলমা ছুটে যান উপরের তলায়। গিয়ে দেখেন প্রতিবেশী কাজী হাসান মাহমুদ (ডেপুটি ডিরেক্টর, গ্রামীণফোন) এবং তার স্ত্রী ফারহানা খানম (অরিস্টো ফার্মার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা) -এর বাসার দরজা খোলা, এবং তাদের গৃহকর্মী মজিদা একটি সাদা বিড়ালকে ধাতব রড দিয়ে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে।
ইলমা ছুটে গিয়ে বিড়ালটিকে রক্ষা করেন, এবং তখনই বুঝতে পারেন—এই নির্যাতনের শিকার বিড়ালটি তারই আদরের শিশু বিড়াল, মাত্র ৫ মাস বয়সী। ও কাঁপছিল, কাঁদছিল, চলতে পারছিল না, আর নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। মাত্র কয়েক মিনিটেই এত নির্মম অত্যাচার?
এই প্রথম নয়!
প্রায় ৬ মাস আগে, একই পরিবার ইলমার আরেকটি বিড়ালকে ৮ তলা থেকে নিচে ফেলে দিয়েছিল। সেই বিড়ালটি ৯ মাস চিকিৎসার পরও শেষ পর্যন্ত মারা যায়। সেই ঘটনার পরেও ইলমা চুপ ছিলেন। কিন্তু এবার, আর নয়।
ধর্ম আর দয়ালুতা শুধুই মুখের কথা?
এই পরিবারটি নিজেদের সবসময় খুব ধর্মপ্রাণ, সদয়, ভদ্র বলে দাবি করে। অথচ প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সঃ) নিজে বিড়ালকে ভালোবাসতেন, যত্ন নিতেন। তাহলে, কিভাবে ধর্মের কথা বলে এরা একটি অসহায় প্রাণীকে এভাবে নির্যাতন করে?
প্রমাণ ও স্বীকারোক্তি:
ইলমার হাতে রয়েছে ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ক্লিপস, ছবি এবং গৃহকর্মী মজিদার নিজের মুখে দেওয়া স্বীকারোক্তি—সে ভবনের নিরাপত্তা প্রহরীদের সামনে বলেছে যে, “ফারহানা ম্যাডামই তাকে বিড়ালটিকে মারতে বলেছে।”
বিচার চাইলে হুমকি!
ইলমা যখন প্রতিবাদ করতে যান, শান্তভাবে কথা বলতে চান, তখন ওই দম্পতি উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করে, মামলা করার হুমকি দেয় এবং ইলমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার চেষ্টা করে।
এই কি সভ্যতা? এই কি শিক্ষিত সমাজ?
এই ঘটনা মানবতার বিরুদ্ধে, ধর্মের বিরুদ্ধে, নৈতিকতার বিরুদ্ধে। এই অপরাধের বিচার চাই—আইনগত ব্যবস্থা চাই।
বিড়ালটি এখন চিকিৎসাধীন, মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আর ইলমা লড়ছেন—ন্যায়বিচারের জন্য, প্রাণীদের অধিকার রক্ষার জন্য।
Its time to see , If Grameenphone actually cares about animals or its all just for show.
Kazi Hasan Mahamood (Deputy Director of Grameenphone) and his family are Animel killers
if you truly care about animals . you should rise your voice against the cruelty.