KIBO the cutest dog

04/06/2025

I got over 10 reactions on one of my posts last week! Thanks everyone for your support! 🎉

18/05/2025

#কিবোর_ডায়রী

তোমরা যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজতে আলস্য দেখাও তারা আমাকে দেখে শিখে নাও। প্রায় ১৫ মিনিট দাঁত মাজার পরেও ব্রাশ আমি আন্টিকে কিছুতেই দিব না। জোর করে নিতে চাইছে বলে রেগে মেগে গর্ররররররররররররর.... করছি দেখো! দাঁত মাজা আমার মৌলিক অধিকার। তাইনা বলো, বন্ধুরা?

১৮ মে, ২০১৯

10/05/2025

I got 50 reactions and comments on my posts last week! Thanks everyone for your support! 🎉

10/05/2025

#কিবোর_ডায়েরী

অনেক দিন সবার কাছে আমার গল্প গুলো করা হচ্ছে না। গল্প করার সুযোগটাই বা পাচ্ছি কই। আজকাল টেনশন করতে করতেই দিন চলে যায়। মাঝে আমার উপর দিয়ে বিশাল স্ট্রেস গেছে। আন্টি,আংকেল আর ভাইয়া আমাকে রেখে কোথায় যেন এক সপ্তাহের জন্য চলে গিয়েছিল। আমার সাথে যাকে রেখে গেল সেই আপাটাকে যাকে আমার প্রথম প্রথম দুই চোক্ষে দেখতে ইচ্ছে হত না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হত, রাত ও হতো, ওরা আর আসতো না। আমি বারান্দায় যেয়ে অপেক্ষা করি, দরজার সামনে অপেক্ষা করি। কিছুতেই ওরা ফিরে আসে না। এত কষ্ট লাগতো। আর ওই বিল্কিস না কিসকিস যেন নাম ওই আপাটা আমাদের ড্রয়িংরুমে ঘুমালে আমি কিছুই বলতাম না। কিন্তু উনি আমাদের বেড রুম বা কিচেনে ঢুকলে আমার ভয়ানক রাগ হত। ফ্রিজ ওভেন ধরলে তো আমি চিল্লাপাল্লা করে বাড়ি মাথায় তুলতাম। পরে বুঝতে পারলাম উনাকে আন্টি অনুমতি দিয়ে গেছে এগুলা ব্যবহার করার। শেষ পর্যন্ত মেনে নিলাম। একদিন ওরা ফোনে ভিডিও কল দিয়ে আমাকে ডাকাডাকি করল। আমি তরাক করে কান খাড়া করে আওয়াজ শুনলাম। পরে বুঝলাম ওরা ফিরে আসেনি। ফোনের মধ্যে আমাকে দেখে ডাকছে। অভিমান করে এক কোণে চুপ করে বসে থাকলাম। সাত দিন পর রাত তিনটার সময় হঠাৎ শুনি নিচে ওদের গলার আওয়াজ। ওরে আনন্দ! ওরে খুশি! লাফালাফি করে করে আর আল্লাদে শুয়ে শুয়ে পরে আমি ওদের অনেক ভাবে বুঝিয়েছি আমি ওদের কত্ত কত্ত মিস করেছি আর কত্ত কত্ত ভালবাসি। আমি আসলে ভেবেছিলাম ওরা বোধহয় আর ফিরবে না। এখন আমি বুঝে গেছি, বেড়াতে গেলেও ওরা আবার আমার কাছে ফিরে আসে। আমার জন্য খেলনা আর হাড্ডিও নিয়ে আসে। তাই আমি একটু দেরি হলেও অপেক্ষা করি। তবে আগের চেয়ে টেনশন আমার অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিন অফিস যায় নাকি আবার কোথাও বেড়াতে যায় চিন্তা লাগে। অফিস গেলে ঠিক আছে। বেড়াতে গেলে অনেক দেরি করে, আমার একটুও ভাল্লাগেনা একা একা। তখন বাসার যত কাগজ বা কার্টুন পাই সব ছিড়ে রাখি। কিচ্ছু না পেলে জুতার আলনা থেকে পছন্দ মত আন্টি বা আংকেলের জুতা স্যান্ডেল নিয়ে চাবাই। এইটা করি যেদিন বেশি বোর হয়ে যাই। ফিরে এসে আমাকে চরম বকা দেয়। তখন আমার খুব মজা লাগে। আন্টির হাত কামড়াতে কামড়াতে আমিও খুব একচোট মজা নিয়ে নেই। আন্টি মাঝে মাঝে মোবাইল দিয়ে বা রিমোর্ট দিয়ে আমার দাঁতের কাছে চোয়ালে মাইর দেয় বেশি কামড়ালে। তখন আমার এত্ত রাগ লাগে। আমিও অভিযোগের সুরে চিল্লাপাল্লা করি। তারপর আমাকে আবার আদর করে। আদর করবেই বা না কেন! আমি তো ঘরের কত দায়িত্ব পালন করি। এই যে ছবি দেখতে পাচ্ছো তোমরা আমি কেন বসে আছি বল তো! আন্টির সাহায্যকারী মেয়েটা পেঁয়াজ কাটছে। এত দামী জিনিস! যেন ফালায় ছড়ায় নষ্ট না করে দেখে রাখা লাগে তো! আমি তাই মন দিয়ে পাহারা দিচ্ছি। আচ্ছা, তোমাদের বাড়িতে এরকম করে কেউ পেঁয়াজ পাহারা দিয়ে রাখে?

৭ নভেম্বর, ২০১৯

08/05/2025

যুদ্ধ নয় শান্তি।
ক্রোধ নয় সৌহার্দ্য।

08/05/2025

Good morning friends!

07/05/2025

#কিবোর_ডায়েরী ২

বন্ধুরা, আজ সবাইকে জরুরী একটা কথা বলতে এলাম। এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য সবজি খেও কিন্তু সবাই। শুধু মুরগী আর গরুর মাংস খেলে কিন্তু গরমে আর টিকতে পারবে না। আমাকেই দেখো। এরা প্রতিদিন নিয়ম করে দুই বেলা মাংস দিচ্ছে। কিন্তু আমার একটুও খেতে ইচ্ছা করে না। এত গরমে অসুস্থ লাগে। অসুস্থ হলে আমিও কিন্তু ভেজি হয়ে যাই। অর্থাৎ গাছের পাতা খুঁজে খুঁজে পছন্দসই হলে খেয়ে পেট ঠান্ডা করি। দুর্বা ঘাস বা তুলসি পাতা পেলে সবচেয়ে ভালো হত। এই বাসার টবে অত ঘাস হয় না। আর তুলসি গাছের কথা আর কি বলবো! যতবার আন্টি দুই চার দিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যায় পানির অভাবে সবার আগে তুলসি গাছটাই মারা যায়। সে যাগগে, এই গাছটা খেলেও আরাম লাগে আমার। পেট ঠান্ডা হয়। বমি আর পেট খারাপ হলেই দুই বারান্দা ঘুরে ঘুরে আমি পছন্দসই গাছের কচি পাতা চিবিয়ে খাই। তোমরাও খাবে আশা করি। ভালো থেকো সব্বাই। আর, গরমে পোলাও মাংস একদম কম কম খেও কিন্তু।

06/05/2025

#কিবোর_ডায়েরী ১
আমার নাম কিবো। আমি বর্তমানে প্রায় সাত বছর বয়সী একটি কুকুরছানা। জন্মের পর প্রথম দুই মাসের কথা আমার খুব একটা মনে পড়ে না। তবে কাটাবন নামে একটা জায়গায় আরো কিসব প্রাণীদের সাথে আমাকে থাকতে হত। সেখানে একদিন একটা আংকেল টাইপ লোক আর একটা ঢ্যাঙা টিনেজ ছেলে এলো। দোকানের লোকটা এত্ত পাজী যে ওদেরকে বল্ল আমি নাকি ছেলে! ওরাও এত্ত বোকা, আমি যে একটা ছোট্ট মেয়ে সেটা না দেখেই আমাকে কিনে নিয়ে একটা কাগজের বক্সে ভরে গাড়িতে উঠে গেল। গাড়িতে উঠে এম্নিতেই আমার খুব ভয় লাগছিল। আরিয়ান ভাইয়া মানে সেই লম্বু ছেলেটা অবশ্য আমাকে আদর করছিল অনেক। এরপর গাড়ি গিয়ে থামলো একটা কলেজের সামনে। একটা শাড়ি পরা মহিলা উঠে সামনে লোকটার পাশে বসলো। তারপর সেই লোকটা বলে কিনা "আমরা কাটাবনে কুকুর কিনতে গিয়েছিলাম।" মহিলা শুনেই কী রাগারাগি! তারপর আমি তো অবাক! ওই লোক একটার পর একটা মিথ্যা বলে যাচ্ছে তার বউ কে! "মানে, কেনা হয়নি পরে আর... তুমি যদি রাগ কর.. আচ্ছা, আমাদের ঘরে বড় একটা জার্মান শেফার্ড থাকলে কেমন হয়?! " এসব শুনে অস্থির হয়ে মহিলাটা বল্ল, "এখন কোনো কুকুর কেনা যাবে না। পরে যদি কিনোও ছোট্ট দেখে কিনবা। বড় কুকুর ভয় পাই আমি কিছুটা।" এই শুনেই ওরা দুইজন লাফ দিয়ে বলে উঠল "তোমার ছোট্ট কুকুর পছন্দ?" বলেই আংকেলটা ইশারা করল আর আরিয়ান ভাইয়া আমাকে লুকিয়ে রাখা বাক্স থেকে বের করে দেখালো। সেই রাগী আন্টি তো বিরাট চিল্লাপাল্লা। পুরা রাস্তা রাগারাগি চিল্লাচিল্লি করল। আংকেল কে বলে দিল ঘরে নোংরা করলে সব পরিষ্কার করার দায়িত্ব তার। ওরে বাবা! আমি তো আরো ভয় পেয়ে গেলাম। এই মহিলা সারাদিন আমাকে মারবে নাকি কে জানে!!! পরে ওই রাগী মহিলাই আমার নাম দিল কিবো। জাপানী ভাষায় কিবো মানে নাকি HOPE! এটা ছিল বাসায় আসার আমার প্রথম দিনের গল্প। কিছুদিন পর সেই রাগী মহিলার কথা আর কি বলবো! আন্টি আমাকে এত্ত আদর করে যে আমি তার ধমক খেলেও খুব মজা পাই। কপট রাগ দেখাই গর্ররররররর করি...উনি আরো মজা পেয়ে আমার সাথে আরো খেলে। ছোটবেলায় আমার প্রিয় খেলা ছিলো যেকোন কাগজ আর ট্যিসু পেলেই কুটি কুটি করে ছেড়া। তবে, শক্ত জিনিস যেমন কাপড়ের ক্লিপ, আন্টির চুলের পাঞ্চ ক্লিপ কটরমটর করে সারারাত ধরে চাবাতেও সেইইইইইই আনন্দ লাগতো! একদিন তো আন্টির একটা মেকাপ ব্রাশ পরে গেলে আমি মহানন্দে তুলে নিলাম। ভেবেছিলাম সাজা শেষে চাবাবো মজা করে! আন্টি আংকেল দুজন মিলে ওটা কেড়েই নিবে! একটু রাগ হয়েছিল সত্যি! আমাকে তো মেকাপের কিচ্ছু কিনে দেয় না। অনেক আগেই জেনে গেছে আমি একটা লক্ষী মেয়ে কুকুর। তবে কি আমার সাজুগুজুর জিনিস লাগবে না! ছোট থাকতে তাই আমি প্রতি রাতে প্ল্যান করেতাম সেদিনের মত আন্টির কানের দুলের র‍্যাক থেকে লাফ দিয়ে একটা নিয়ে আসব আর এসির মধ্যে বসে মনের সুখে চাবাবো।
আজ অনেক ডায়রী লেখা হল। পরে আবার লিখবো। ওহ! আসল কথাটাই লিখিনি। ওরাই কিন্তু এখন আমার আসল ফ্যামিলি। ওরাও আমাকে ভালোবাসে, আমিও ওদেরকে ভীষণ ভালোবাসি।

(ভিডিওটা আমার ছোটবেলার সাত মাস বয়সের)

06/05/2025