PigeonPlanet

13/03/2023

Announcements Coming Soon 👏

08/03/2023

BounceBack Loft

07/03/2023

Arisha-prity loft

06/03/2023

Male: Inbreed kittel + Inbreed Chicago
Female: 1st prize winner

20/09/2022

Male: 100% Louis van loon ( Inbreed Chicago & Kain)
Female: 50% Louis van loon

18/09/2022

Male: Inbreed gr.son James Bond
Female: Daughter James Bond

31/08/2022

14/08/2022

আমাদের দেশে এখন অনেকেই আছে যারা কবুতর পালন করে রেসে এর জন্য,এবং তারা তাদের কবুতর দিয়ে বংশবৃদ্ধি করে, কারণ তারা তাদের বেশি সংখ্যক কবুতর দিয়ে রেস উপভোগ করতে চাই।
সকল কবুতর প্রেমিরাই চাই তার কবুতর রেস উইন করুক এবং রেসিং সেক্টরে তার একটি অবস্থান তৈরি হোক।
আপনি যদি আপনার কবুতরগুলিকে দিয়ে রেস উইন করাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ে অন্তত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই,যা আপনাকে এই রেক্টরে ভালো অবস্থানে থাকতে সহায়তা করবে।

প্রথমত এটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার কবুতরগুলি স্বাস্হ্যকর খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে তাদের ফিটনেস ধরে রাখা এজন্য আপনার কবুতরকে প্রচুর প্রোটিন সহ একটি সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে যাতে তাদের পেশীগুলি সঠিকভাবে বিকাশ করতে পারে।
যদি তারা পর্যাপ্ত প্রোটিন না পায়, তবে তাদের পেশীগুলি সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে না যার ফলশ্রুতিতে তাদের দ্রুত উড়াকে প্রভাবিত করবে।

একটি জিনিস যা অনেকেই হয়তো বুঝতে পারে না তা হল কবুতরের সুস্থ থাকার জন্য এবং রেসে ভাল পারফর্ম করার জন্য প্রচুর পানি প্রয়োজন তাই লফ্টে সর্বদা পানির পাত্র নিশ্চিত করুন এবং নিয়মিত পানির পাত্র পরিস্কার করুন যাতে পানির পাত্র নোংরা বা দুর্গন্ধযুক্ত না হয়।

যদি আপনার কবুতর অসুস্থ হয় তাহলে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে না নিয়ে যাওয়াই ভালো কারণ এতে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। এসময়
তাকে পশিক্ষন থেকে কিছুটা সময় রেস্টে দিন যতক্ষণ না সে আবার ভাল হয়।পরিচ্ছন্নতা সুস্বাস্থ্যের চাবি কাঠি। আপনার লফ্ট সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন যাতে লফ্টে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক তৈরি হতে না পারে।

কবুতর রেসিং শুধুমাত্র গতির বিষয় নয় এটি একটি সহনশীলতা খেলা যেখানে স্ট্যামিনা বড় ভূমিকা পালন করে।এই কারণেই প্রশিক্ষণের সেশনগুলি প্রতিবার কমপক্ষে 45 মিনিট স্থায়ী হওয়া উচিত যাতে আপনার কবুতরগুলি তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে।

মাঝে মধ্যে কবুতর কে বিরতি দিতে ভুলবেন না।যদি তারা প্রশিক্ষণ সেশনের মধ্যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পায় তবে এটি রেসে প্রভাব বিস্তার করবে তাই অত্যন্ত প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি দিন কবুতর আটকে রাখুন যাতে তাদের পেশীগুলি পুনরুদ্ধার করার সময় পায়।

চলবে........
অনুবাদ

14/08/2022

কিভাবে আপনার কবুতর ব্রিডারদের জোড়া করবেন—পার্ট- ১

একজন লফট্ মালিক/ ম্যানেজার সর্বদা তার লফ্ট এর কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য বা রেসে ভালো করার জন্য সর্বদা কঠোর পরিশ্রম করেন এবং এর জন্য, কীভাবে কবুতর প্রজননকারী বা ব্রিডার কবুতর কীভাবে জোড়া করতে হয়, সে সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।
প্রবন্ধের তিন-অংশের সিরিজে, আমরা কবুতর প্রজননকারীদের জোড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরু্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করব।

১/ রেসিং দক্ষতা/ ক্ষমতা মূল্যায়ন:

আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা জানতে, আপনি এখন কোথায় আছেন তা জানতে হবে।
প্রজনোনকারী বা ব্রিডার হবার নিমিত্তে কবুতর টির বিগত সিজন(গুলি) র রেসিং পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করতে হবে। আপনার কম দূরত্বের বা সর্ট - ডিসটেন্স (১০০ কি.মি./ ১৫০ কি.মি./ ২০০ কি.মি.) রেসে এর ক্ষেত্রে আপনার কবুতর কীভাবে পারফর্ম করেছে বা কতটা গতিতে ঘরে ফিরছে তা দেখা জরুরী।

উচ্চ ভেলোসিটি সর্ট - ডিসটেন্স রেসের ক্ষেত্রে এক অপরিহার্য বিষয়।

তারপর আপনার দীর্ঘ দূরত্বের বা লং- ডিসটেন্স ( ২৫০ কি.মি./ ৩০০ কি.মি./ ৩৫০ কি.মি.) রেসের দিকে তাকান। দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য শারীরিক অবস্থা ও প্রবণতা বা মনোবল আলোচ্য বিষয়। আপনার বিগত রেস এর পারফরম্যান্স পর্যালোচনা আপনাকে ব্রিডিং বা প্রজননের জন্য কবুতর নির্বাচন করতে/ নতুন পাখির মূল্যায়ন করতে সহায়তা করবে।

২/ ব্রিডিং ঘরে নতুন কবুতর সংযোজন:

আপনার কী ধরনের কবুতর প্রয়োজন সে সম্পর্কে আপনার জানা থাকতে হবে, আপনি কোথায় নতুন পাখি কিনতে পারবেন সে সম্পর্কে আপনার কাছে কয়েকটি অপশন আছে।

ক) আপনার কাছে প্রথম অপশন হতে পারে "লাইভ নিলাম"। লাইভ নিলাম এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যে আপনি আসলে পাখি/ পেডিগ্রী দেখতে এবং হাতে নিয়ে যাচাই বাছাই করতে পারেন। আপনি ফ্যান্সিয়ারের সাথে মুখোমুখি কথা বলতে পারেন এবং সম্ভবত কিছু অতিরিক্ত তথ্য শিখতে পারেন যা আপনাকে আপনার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।

খ) আপনার কাছে পরবর্তী পছন্দ হল "অনলাইন নিলাম"। অনলাইন নিলামগুলি আজকাল অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং আমার মতে, সবচেয়ে বড় সুবিধা হল তারা যে প্রক্রিয়ায় কবুতর নির্বাচন করে। আপনার পরিচিত, অভিজ্ঞ ফেন্সিয়ার বা রেসিং বিষয়ে জ্ঞান রাখে এমন প্রসিদ্ধ-প্রশ্নাতীত ব্যক্তিবর্গ দ্বারা এসব অকশনের জন্য বিগত বছরের টপ ফেন্সিয়ার এর রেজাল্ট করা কবুতর/ রেজাল্ট করা কবুতরের অনুজ অকসনের জন্য নির্বাচন করা হয়। তবে বড় অসুবিধা হল যে আপনি হাতে নিয়ে পাখি দেখতে এবং যাচাই বাছাই করতে পারবেন না।

আপনি লাইভ বা অনলাইন নিলাম থেকে কিনুন না কেন, আপনার পছন্দকে একটি প্রমাণিত পাখির মধ্যে সীমাবদ্ধ করবেন না। সফল জুটি থেকে তরুণদেরও কিনতে পারেন। এই তরুণরা প্রমাণিত জেনেটিক্স অফার করবে যা প্রথম প্রজন্মের অতীত প্রদর্শন করতে থাকবে।
গ) প্রসিদ্ধ ফেন্সীয়ার যিনি লাগাতার কয়েক সিজন রেস করেছেন এবং কন্সিস্টান্টলি ভালো রেজাল্টের ভেতর আছেন, এমন ঘর থেকে ও কবুতর সংগ্রহ করতে পারেন।

৩/ আপনার ব্রিডার জোড়া নির্বাচনে বিবেচিত বিষয়:

প্রকার: দূরত্ব বা গতি

সাধারণত, আপনি দূরত্ব বা গতির বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে আপনার প্রজননকারীদের একই ধরণের মধ্যে রাখতে চান। আপনি এটি থেকে বিচ্যুত হবেন যদি আপনি লক্ষ্য করেন, আপনার ব্রিডার দের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ধরণের ঘাটতি রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার একটি স্বল্প দূরত্বের পরিবার থাকে আসা কবুতর ১৫০ কি.মি. অতিক্রম করতে অসুবিধা হয় বা ভালো ভেলসিটিতে না আসে, তাহলে আপনাকে দীর্ঘ দূরত্বের পাখির সাথে বংশবৃদ্ধি করতে হবে।

অল্প দূরত্বের রক্ত ​​আনার মাধ্যমে, আপনি স্বল্প দূরত্বের পরিবারের দূরত্বের পারফরম্যান্সকে উন্নত করতে পারবেন, গতির সক্ষমতা অক্ষুন্ন রেখে ই। যদি আপনি একটি পরিবারের মধ্যে থেকে একটি সল্প দূরত্বের পাখি আনেন যেটি কিছু ছোট এবং দ্রুত রেসে জয়ী ও প্রমাণিত হয়েছে।

সেই পাখিটি নিন এবং এটিকে লং ডিসটেন্স পরিবারে প্রজনন করুন। তারপর তাদের পারফরম্যান্সকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করার জন্য যথেষ্ট তরুণদের রেস করুন। অবশেষে, গতি পরিবার ও দূরত্ব পরিবার এর মাধ্যমে তরুণদের সেরা বংশবৃদ্ধি হবে।
আপনি সহজেই আপনার দূরত্ব পরিবারে গতি বাড়ানোর জন্য এই পরিকল্পনাটি প্রয়োগ করতে পারেন।

এই সিরিজের দ্বিতীয় অংশে, আমরা আপনার ব্রিডার জোড়া দেওয়ার সময় জেনেটিক ফ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করব।

(অনুবাদ)

13/08/2022

হোমার এবং রেসিং হোমারঃ

হোমার এবং রেসিং হোমারের ভেতর পার্থক্য কি?

এ ব্যাপারে খুব প্রচলিত একটি কথা আছে - প্রতিটি রেসিং হোমার কবুতরই #হোমার প্রজাতীর কিন্তু সব হোমার কবুতর #রেসিং_হোমার নয়।

কথাটা এভাবেও বলা যায় #হোমার হচ্ছে ব্রীডের নাম আর #রেসিং এর ক্ষমতা হচ্ছে এই হোমার প্রজাতীর #কিছু কবুতরের গুন বা বৈশিষ্ট্য।

কবুতরের রেস করার জন্য বিশেষ ভাবে নির্বাচিত কবুতরের ক্রস ব্রীডিং এর মাধ্যমে #হোমার প্রজাতীর কবুতর তৈরি করা হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে যার মূল বা বিশেষ ক্ষমতা ছিলো “হোমিং এবিলিটি” বা বাড়ি চিনে ফিরে আসার ক্ষমতা। আর এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লম্বা সময় ধরে বিশ্রামহীন ওড়ার সক্ষমতা।

১৭৮৯ সালে, ফরাসী বিপ্লবের বছরে শুরু হয়ে পরবর্তী ১৫০ বছরে বিভিন্ন ধাপ পার হয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে আমরা আধুনিক রেসিং কবুতর প্রজাতী উৎপত্তি দেখতে পাই বেলজিয়ামে। বিভিন্ন লেখকরে লেখনীতে এই প্রজাতীর সৃষ্টির জন্য ব্যবহৃত অনেক ধরনের স্টক ব্রীডের নাম পাওয়া যায়। যার ভেতর যেমন হাই ফ্লাইয়ার আছে তমন ক্যারিয়ার প্রজাতীও আছে। সেটা অন্য আলোচনা এবং অনেক ব্যাপক তার পরিধী - রেসিং হোমারের ইতিহাসের সাথে সংশ্লিষ্ট।

বেলজিয়ামে কবুতরের রেসিং জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুর করলে প্রথম দিকের হোমার কবুতরের হোমিং এবিলিটির সাথে #গতী একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ন ক্ষমতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করে। প্রতিযোগীতার ডামাডোলে ধীরে ধীরে বুদ্ধি এবং সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতাও আতশ কাচের নীচে আসতে শুরু করে। জয়ের জন্য মরিয়া ফেন্সিয়ারদের সুনির্বাচিত ব্রীডিং প্রোগ্রামের ফলে কম গতী, কম বুদ্ধি, সিদ্ধান্তে দোদুল্যমান হোমারগুলো ছিটকে পড়তে শুরু করে প্রতিযোগীতা থেকে। বিজয়ী গতীর ঝলক দেখানো নির্বাচিত হোমারগুলোর ভেতর ব্রীডিং এর ফলে গতীময় বুদ্ধিদ্বীপ্ত রেসীং হোমার এর এক বিশেষ দল তৈরী হয়। আবার এদের মাঝেও হোমিং এবিলিটির ওপর নির্ভর করে তৈরি হতে থাকে একাধিক উপদল। শর্ট ডিস্ট্যান্স বা স্প্রিন্ট রেসার যারা অনধিক ৫০০ কিমি রেসে বিশেষায়ীত। ৭০০ থেকে হাজার কিমি এর অধিক দুরত্বে রেস করতে সক্ষম লং ডিস্ট্যান্স রেসিং হোমার। ইদানীং আবার এক্সট্রিম লং ডিস্ট্যান্স রেসিং হোমার এর আরেক স্পেশালাইজড উপদল বের হয়ে এসছে যারা দেড় দুই হাজার কিমি রেস করতে সক্ষম!

অন্যদিকে রেসিং প্রতিযোগীতা থেকে ছিয়কে পড়া হোমারগুলো আস্তে আস্তে যায়গা করে নিতে শুরু করে #শো কবুতর হিসেবে। যাদের ব্রীডিং এর মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় রঙ এবং আকৃতির সৌন্দর্য। গতী, হোমিং এবিলিটি, বুদ্ধির প্রখরতা উপেক্ষিত এই ব্রীডিং প্রোগ্রামের ফল হিসেবে শো হোমার এমনকি তাদের মূল বৈশিষ্ট্য হোমিং এবিলিটিও অনেকাংশে হারিয়ে ফেলেছে।

আবার কিছু ফেন্সিয়ারদের লফটে প্রতিযোগীতাহীন উড়ানোর আনন্দ দেয়া একদল হোমার টিকে আছে তাদের হোমিং এবিলিটি নিয়ে কিন্তু হারিয়েছে প্রতিযোগীতা মূলক গতীর গুন। এরা অনেক দূর দুরান্ত থেকে বাড়ীতে ফিরতে পারলেও ধীর গতির কারনে প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে অক্ষম।

পরিশেষে এটাই বলা যায় হোমিং এবিলিটির সাথে গতির সক্ষমতা একটি হোমার কবুতরকে সাম্ভাব্য রেসিং হোমার বানায়। গতি, হোমিং এবিলিটি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় গুন গুলো যেহেতু বংশ পরম্পরায় এক জেনারেশন থেকে অন্য জেনারেশনে স্থানান্তরিত হয় তাই রেসিং হোমারের ক্ষেত্রে ব্লাড লাইন একটি গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। তবে এটাও মনে রাখতে হবে উকিল পূত্র যেমন সব সময় যুক্তিবোধে প্রখর হয় না তেমনি ভালো ব্লাড লাইন হলেই একটি কবুতর যে ভালো রেসার হবে তেমন নয়।

তাই যেখানে শুরু সেখানেই শেষ-

প্রতিটি রেসিং হোমারই হোমার প্রজাতীর হলেও সব হোমার কিন্তু রেসার নয়। গতি আর নীড়ে ফেরার ক্ষমতাই একটি রেসারকে সাধারন হোমার থেকে আলাদা করে রাখে যা প্রমানিত হবার একমাত্র পথ #বাস্কেটিং.....

👀 আপনার ঘরের কবুতরটি সাধারন হোমার নাকি রেস করতে সক্ষম রেসিং হোমার সেটা বুঝবেন কিভাবে?

এক কথায় এর উত্তর টস টস করা... ট্রেনিং দিন, পর্যায়ক্রমে টস এর দুরুত্ব বাড়িয়ে ১০০ কিমি করুন। ১০০ কিমি দুরুত্ব থেকে টস করুন কয়েকবার, যদি ট্রযাপিং এর গড় সময় #দেড়_ঘন্টা থেকে বেশী হয় তবে যেকোন প্রতিযোগীতামূলক রেসিং টিম এর বাইরে রাখাটাই আমার মত। যদি কবুতরটির পেডিগ্রী থেকে নিশ্চিত রুপে রেসিং ব্লাড লাইনের হয় তবে এর বংশধর নিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আর যদি সে সম্পর্কিত কোন তথ্য না থাকে তবে এর বংশধরের পেছনে সময় নষ্ট করা সমিচীন হবে না বলেই ধারনা করি। হয়তো সে খুব ভালো ফস্টার হতে পারবে...

(Collected)

30/07/2022

রেসিং হোমারের ইতিহাস: ..........................................
হোমার জাতের কবুতর বা রেসার কবুতর একটি সংকর জাতের কবুতর। ধারনা করা হয় ঊনবিংশ্ব শতাব্দীর প্রথমদিকে English Carrier জাতের কবুতরের সাথে Dragon এবং Cumulate জাতের কবুতরের ক্রস ব্রিডের মাধমে হোমার জাত তৈরি করা হয়েছে। সুদূর অতীত কাল থেকে English Carrier কবুতর চিঠি আদান-প্রদান করার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। হোমার কবুতর মূলত রেস বা প্রতিযোগিতায় ব্যবহার হয়। এদের দূরে কোথাও ছেড়ে দিলে প্রায় শতভাগ নির্ভূল ভাবে বাড়ী ফিরতে পারে, এমনকি হাজার কিলোমিটার দূর থেকেও হোমার কবুতর বাড়ী ফিরে আসতে পারে। বাড়ী ফিরে আসার এই বিশেষ দক্ষতার জন্য এরা Homing Pigeon নামে পরিচিত।। রেসের কবুতর ১০০ কিমি,২০০ কিমি,৫০০ কিমি কিংবা ১০০০ কিমি দূরে নিয়ে ছাড়া হয়, যার কবুতর আগে ঘরে পৌছায় তাকে বিজয়ী হিসেবে ধরা হয়।
হোমার বা রেসার কবুতর সম্পর্কিত কিছু তথ্য:
(১).প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শত্রু পক্ষ এবং মিত্র পক্ষ উভয়েই যুদ্ধে লক্ষাধিক হোমার জাতের কবুতর ব্যবহার করেছে। কবুতরগুলো দুর্গম এলাকায় বোমা, চিঠি ও ঔষধ বহন করত।
(২).দুই বিশ্বযুদ্ধে কিছু কবুতর অসাধারন সাফল্য অর্জন করেছে যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছে। 'The Mocker' , 'Gustav' , 'Kaiser', 'Wiliam Of Orange', 'GI Joe' ইত্যাদি নামের কবুতরগুলোকে যুদ্ধ শেষে সম্মানসূচক Commando উপাধি ও Dickin মেডেল দেয়া হয়েছিল।
(৩).The Mocker নামের কবুতরটি যুদ্ধে ৫২টি মিশন সম্পন্ন করেছিল, ৫৩ তম মিশনে কবুতরটি গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। ডানায় গুলির আঘাত পেয়েও সে ক্যাম্পে ফিরে এসেছিল।
(৪).Cher Ami নামের একটা হোমার কবুতর ২০০ জন মার্কিন সেনার জীবন বাঁচিয়েছিল। সেনারা দূর্গম বরফ আচ্ছন্ন এলাকায় পথ ভুল করে প্রায় শত্রু ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছিল। এমন অবস্থায় চের এমি নামের কবুতরটি সেনাদের পথ দেখিয়ে নিজেদের কাম্পে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
(৫).২০০২ সালের প্রতিযোগিতায় বিলি নামের একটি হোমার কবুতর ইংল্যান্ডের লিভারপুল থেকে পথ ভুল করে প্রায় ৩৩০০ কিমি দীর্ঘ আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে চলে গিয়েছিল। বিলি সেখান থেকে আবার তার মালিকের কাছে ফিরে এসেছিল ৩১ দিন পর।
(৬).বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ সাবমেরিনে শত্রুপক্ষ টর্পেডোর নিক্ষেপ করেছিল। ধ্বংসপ্রাপ্ত সাবমেরিনের রেডিও নষ্ট হয়েছিল। তখন একটি হোমার কবুতরের পায়ে বিপদ বার্তা লিখে হেডঅফিসে পাঠানো হয়েছিল। পরে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার এসে লোকজনের জীবন রক্ষা করেছিল। সাবমেরিনে কবুতর না থাকলে তাদের মৃত্যু অবধারিত ছিল৷
(৭).২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক সংস্থা পিজিয়ন প্যারাডাইস বা (পিপা) বোল্ট নামের একটি হোমার কবুতর নিলামে বিক্রি করে প্রায় ৩৭৫০০০ ইউরো দামে যা বাংলাদেশী প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার উপরে। বোল্ট নামের কবুতরটি এ যাবত কালের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগামী কবুতর। পৃথিবীর দ্রুততম মানব উসাইন বোল্টের নাম অনুসারে কবুতরটির নাম দেয়া হয়েছে বোল্ট। চীনের এক ব্যবসায়ী কবুতরটি বেলজিয়াম থেকে কিনে নেন।
(৮).হোমার জাতের কবুতর ঘন্টায় ৭০ থেকে ১০০ কিমি/ঘন্টা গতিতে উড়তে পারে। এরা কোথাও না থেমে একটানা সারাদিন উড়তে পারে। হোমার কবুতর একদিনে গড়ে ৬০০ কিমি পাড়ি দিতে পারে।
(৯).হোমার বা রেসার কবুতর উড়ার সময় মাটি থেকে প্রায় ৬০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে, আরো বেশী উচ্চতায় উড়ার রেকর্ডও আছে। এরা উড়ার সময় পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড অনুভব করতে পারে, অনেকটা বর্তমান জিপিএস এর মত। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে Magnetoreception.
(১০).অতীত থেকে এখনও পৃথীবিতে অনেকে হোমার কবুতরের বৈশিষ্ট্য ও স্পিড বাড়ানোর জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। একেক জন এক এক ব্লাডলাইন তৈরি করেছেন।
[বি.দ্র:এই লেখার সমস্ত তথ্য বিভিন্ন বই,ইন্টারনেট ও ডকুমেন্টারি থেকে সংগৃহীত। ]

ধন্যবাদ সবাইকে৷