02/05/2025
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিড়ালের একটি গোপন বিষয়ে খুব ভালভাবে জ্ঞাত ছিলেন। অবাক করার মতো বিষয় হলো- বেড়াল যেমন বুদ্ধিমান তেমনি এদের মাঝে একটি রহস্য লুকিয়ে আছে।
মুহাম্মদ সাঃ একদা নিজের সৈন্য বাহিনী সাথে নিয়ে যুদ্ধে যাচ্ছিলেন। তখন রাসূল সাঃ এর সামনে একটি বিড়াল চলে আসে এবং সেটি গর্ভবতী ছিলো। আর এটি দেখে রাসূল সাঃ সাথে সাথে তার সৈন্য বাহিনীর সাথে অন্য রাস্তায় ফিরিয়ে নিলেন যাতে করে সেই গর্ভবতী বিড়ালের কোন সমস্যা না হয়। আর একজন সাহাবীকে সে বিড়ালের দেখাশোনা করার জন্য রেখে দিলেন। কেননা যুদ্ধের ময়দানে যাবার চাইতেও সেই গর্ভবতী বিড়ালের পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরী। সুবহানাল্লাহ।
তারপর মহানবী সাঃ তার কাজ রেখে যখন বাড়ি ফিরছলেন, তখন সর্বপ্রথম যে রাস্তায় বিড়াল রেখে গিয়েছিলেন, সেখানে পৌছান, এবং পরক্ষণেই সে বেড়ালকে তার সাথে করেই নিয়ে যান। সে বেড়ালের নাম রাসুলুল্লাহ সাঃ মায়েজা রেখেছিলেন। তারপর বাকিটা জীবন সে বেড়ালকেই তার সাথে রেখে দেন। একবার রাসূল সাঃ ফজরের নামাযের জন্য উঠলেন এবং দেখতে পেলেন সে বেড়াল তার নামাযের মাসাল্লায় শুয়ে আছেন। শুনা যায় রাসুল সাঃ বিড়ালের ঘুম না ভাঙানোর জন্যে জায়নামাজের সে অংশটি কেটে দিয়েছিলেন।
আল্লাহু আকবার!
একটি হাদিসে মহানবী সাঃ বেড়ালের ওপর অত্যাচার করতে নিষেধ করেছেন। রাসূল সাঃ বললেন, একটি মহিলাকে শুধুমাত্র এই কারনে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেওয়া হবে কারন ইনি একটি বিড়ালকে পানি পান করিয়েছিলেন।
বেড়ালের ব্যাপারে রাসূল সাঃ ১৪শত বছর আগে যা বলে গিয়েছিলেন, আজ বিজ্ঞান বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে সত্যতা প্রমাণ করতে পেরেছে। হযরত আদম আঃ এর পর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্ব প্রথম দুইটি জন্তুকে সৃষ্টী করেছেন, সে দুটি জন্তুর মধ্যে একটি হলো সাপ অপরটি হলো বেড়াল।
আর এ বেড়ালের মাঝে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশেষ কিছু গুনাবলী রেখে দিয়েছেন, যেসব গূনাবলীর কারণে মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে বেড়ালের নিঃশ্বাসে মধ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ডিপ্রেশান রোগীদের চিকিতসা লুকিয়ে রেখেছেন। কেননা এদের লোমে স্যাল্মলেনা নামক এক বিশেষ ধরনের ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া যায়। আর এটি মানুষের ডিপ্রেশান কমাতে সাহায্য করে।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলছেন, একটি মহিলাকে শুধুমাত্র বেড়ালের জন্য আযাব দেয়া হয়েছিল কেননা মহিলাটি বেড়ালটিকে বন্দী করে রেখাছিলো, কোনও খাবার পানিও দেয়নি। মহিলাটি বেড়ালটিকে খুব কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল। শুধুমাত্র এই একটি কারণে মহিলাটি জাহান্নামে গিয়েছিল।
মেশকাত শরিফ থেকে একটি হাদিস এসেছে যে, একজন মহিলা আম্মাজান হযরত আয়েশা রাঃ কে কিছু খাবার দিতে এসে দেখতে পেলেন তিনি নামায পড়ছিলেন, এ দৃশ্য দেখে খাবারগুলোকে তিনি সেখানেই রেখে যান। পরে সেখানে একটি বেড়াল আসে, কিছু খাবার সে খেয়ে ফেলে। অতঃপর আম্মাজান আয়েশা রাঃ সে স্থান থেকে খাবার খেয়েছিলেন। তারপর তিনি বললেন, রাসূল সাঃ জানিয়েছেন, বেড়াল নাজায়েজ বা অপবিত্র কোন প্রানী নয়, তিনি আরোও বলেছিলেন, আমি রাসূল সাঃ কে বেড়ালের খাওয়া পানি থেকে ওযু করতে দেখেছি।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেড়ালের ঘুমের আওয়াজ এর ফ্রিকোয়েন্সি ২০ - ৪০ হার্যের মধ্যে। এ আওয়াজ একজন মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী বলে প্রমাণিত।