06/05/2024
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বন্য ও মুক্ত পাখির অবদান।
শেয়ার করবেন।
বাংলাদেশের বনভূমিগুলোর মধ্যে অন্যতম চিরসবুজ বনভূমি। আমাদের দেশের পাখিদের একটি বড় অংশের দেখা পাওয়া যায় এই বনভূমিগুলোতে। এসব পাখি সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি চিরসবুজ বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এছাড়াও বনভূমি সংলগ্ন চাষের জমিসহ সারাদেশের জমিগুলোতে যে চাষাবাদ হয় সেসবের ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখে বন্য ও মুক্ত পাখি।
বাংলাদেশের চিরসবুজ ও মিশ্র-চিরসবুজ বনভূমিগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের সমারোহ থাকার কারণে বেশ কিছু প্রজাতির পাখি এসব বনে পাওয়া যায় যাদের অন্য বনে দেখা যায় না। চিরসবুজ বনের পাখিদের মধ্যে রয়েছে ময়না, টিয়া,শালিক,দোয়েল,মুনিয়া, ঘুঘু, ধনেশ, হরিয়াল, নীলকণ্ঠ, ভীমরাজ, মৌটুসিসহ অন্যান্য পাখি। বাংলাদেশে কয়েক প্রজাতির সবুজ টিয়া পাওয়া যায়। যারা লোকালয়ের আধিক্য এমন অঞ্চলে প্রায় বিলুপ্ত। এরা খাবারের সন্ধানে লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় উড়ে আসে।
এসব পাখি আকার-আকৃতি, বর্ণ এবং স্বভাবে বেশ বৈচিত্র্যময়।
নানা প্রজাতির স্থানীয় পাখির সঙ্গে শীতকালে যোগ দেয় পরিযায়ী পাখির দল। এদের বিচরণে চিরসবুজ বন হয়ে ওঠে হাজারো পাখির স্বর্গরাজ্য। সুবৃস্তিত জলাভূমির ভারসাম্য রক্ষায় এসব পাখির অনবদ্য অবদান আছে।
বনের খাদ্যশৃঙ্খলে স্বাভাবিক ধারা বজায় রাখা, ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভিদের পরাগায়ণ ও বীজের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই পাখিদের।
তবে পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে অস্তিত্বের হুমকিতে পড়েছে বনের এই পাখিরা। ক্রমাগত বনভূমি উজাড় করার ফলে বনের পাখিরা তাদের আবাসস্থল হারাচ্ছে। একই সঙ্গে বনাঞ্চলে ফলজ উদ্ভিদ কমে যাওয়ায় খাদ্যসঙ্কটে ভুগছে তারা। ফলে বেশ কিছু পাখি এখন বিপন্ন। এর সাথে রয়েছে পাখির বাচ্চা পাখির বাসা থেকে চুরি করে বিক্রি করার মত জঘণ্য কাজ। বিভিন্ন হাট বাজারে না বুঝে বা জেনেশুনে অনেকে পাহাড়ী টিয়া বা ময়না বলে পাখি বিক্রি করে। সোসাল মিডিয়াতেও এদের দৌরাত্ম দেখা যায়। এরা জীবকুলের শত্রু। এমন বিভিন্ন কারণে ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে গোটা বনের প্রতিবেশ ব্যবস্থায়।
তাই চিরসবুজ বনের পাখি সংরক্ষণে প্রাকৃতিক বনভূমি রক্ষার কোনো বিকল্প নাই। সেই সাথে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।
আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে- আমরা বনের পাখি খাঁচায় পালবোনা। খাঁচার পাখি খাঁচায় পালবো।
যেসব পাখি খাঁচায় পালা অনুচিত- যেকোন সবুজ টিয়া,ময়না,শালিক,মুনিয়া,দেশি ঘুঘু,দোয়েল,বুলবুলি ইত্যাদি।
যেসব পাখি খাঁচায় পালবো এবং আনন্দ লাভ করবো - বাজেরিগার,ফিঞ্চ,কোকাটেল,লাভবার্ডস, কনুর,ফরপাস,নিউফেমা, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু (অর্থাৎ বিদেশি ও খাঁচায় জন্ম নেওয়া পাখি) ইত্যাদি।
পোস্ট শেয়ার করবেন।
সচেতনতা ছড়িয়ে যাক।
(বি:দ্র: পোস্ট কনসেপ্ট ও কিছু কনটেন্ট ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)
শাফি আহমদে
CEO, BIRDS CAMP BD