09/06/2022
১৮. কবুতরের Bumblefoot Disease /পা ফোলা বা পায়ের ক্ষত রোগ এই রোগ হলো কবুতর এর একটি মারাত্মক ব্যাধি যা মূলত আক্রমণ করে (বিশেষ করে বন্দি কবুতরের) পায়ের তালু, পায়ের গোড়ালি, হাঁটুতে বা বিভিন্ন হাড়ের
জোড়ায়।
রোগের লক্ষণ:
চর্ম রোগ বা খোস পাঁচড়া হয়
• পায়ের গোড়ালি বা পায়ের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়।
পায়ের চামড়া ভারী বা মোটা হয়ে যাওয়া।
মে যাওয়া ও অবশ হয়ে যাওয়া বা বাকা হয়ে যাওয়া। ন ও এক জায়গায় বসে থাকা, একটু হেঁটে আবার বসে পড়া। বৃত্তাকার গোটার মতো হওয়া, তাতে অনেক সময়
Rashiofot বা পায়ে ক্ষত সাধারণত Staphylococcus ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়। সাধারণত উচ্চতা বা খারাপ খামার ব্যবস্থাপনা, অপর্যাপ্ত বিশ্রাম, Landings থেকে ঘটমান পাদদেশ বা পায়ের প্যাডে কাটা (যা পরে বিষ্ঠার ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়), Scrape বা আঘাতের কারণেও হতে পারে। ভিটামিন A এর অভাবে হয়। Bumblefoot সময়মতো চিকিৎসা ন হাড় ও Tendons এ সংক্রমণের মাধ্যমে কবুতরের মৃত্যু ঘটাতে পারে।
এ ছাড়াও সংকটাপন্ন ইমিউন ফাংশন। বিপাকীয় ব্যাধি (যেমন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বা প্রোটিন হিসেবে নির্দিষ্ট পুষ্টি, দেহমধ্যে সজীব উৎপাদনের রাসায়নিক পরিবর্তন সমস্যা), ইউরিক অ্যাসিড এর আধিক্য, রিং পরানো বা রিং থেকে আঘাত, রোগের সংক্রমণ ইত্যাদি।
● সাধারণত বন্দি কবুতরের এই রোগ বেশি হয়।
• কবুতর একই জায়গায় বেশিদিন দাঁড়িয়ে থাকলে (অনেক সময় কবুতরের খাপড়ি বা খাঁচার জায়গা কম হলে হতে পারে)। ● শক্ত, অমসৃণ মেঝে বা খোপ বা খাঁচার তলদেশ (যেখানে কবুতর দাঁড়ায়)
হলে।
● থাকার বা দাঁড়ানোর জায়গা ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে হলে। ● থাকার বা দাঁড়ানোর জায়গায় প্লাস্টিক বা রেক্সিন দিয়ে মোড়ানো হলে।
● অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হলে।
• ভিটামিন এ এর তীব্র অভাব হলে।
• নিজেদের মাঝে মারামারি।
• সবসময় কম খাবার প্রদান বা গ্রহণ (অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার দেয়)।
• প্রয়োজনের তুলনায় অধিক স্বাস্থ্য বা শারীরিক ওজন বেড়ে যাওয়া। • শারীরিক অস্বাভাবিকতা ও আঘাত পাওয়া বা আহত হওয়া থেকেও হতে
পারে।
মারাত্মক দিক:
মারাত্মক অবস্থায় অনেক সময় অভিজ্ঞ ভেট ডাক্তার দিয়ে অস্ত্রপচার করে বা অপারেশন করে ব্যান্ডেজ করে রেখে দিলে ভালো হয়।
এই রোগ সারতে অনেক ক্ষেত্রে দেরি হয় তাই ধৈর্যধারণ দরকার। অনেক সময় এই রোগ থেকে পায়ের অঙ্গহানি হয়, পা বা আঙুল নষ্ট হয়ে ঝরে যায়। প্রতিরোধ:
• নিয়মিত পাদদেশ পরিদর্শন করা বাঞ্ছনীয়।
● খাঁচা পরিষ্কার রাখা।
• সুষম খাদ্য সরবরাহ।
● কেটে গেলে বা ফোঁড়ার মতো কিছু হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা।
● খাঁচার খোঁচা অংশগুলো সমান করা। পায়ের লোম কেটে কেটে ছোট করা।
নিয়মিত ভিটামিন A দিতে হবে।
পায়ে ব্যান্ড বা রিং থাকলে কেটে দিন।
চিকিৎসা:
১. কবুতরের আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করে Viodin Ointment দিনে ২ বার করে ৩ দিন পর্যন্ত প্রয়োগ করতে হবে।
২. Moxacil Paediatric Drops প্রতিটা কবুতরকে ৩/৪ drops দিনে ২ বার করে ৩ দিন।
অথবা, ২ মিলি ১ লিটার পানিতে ৫ দিন।
3. Ace/Napa Syrup: প্রতিটা কবুতরকে ৩/৪ drops দিনে ২ বার করে ২ দিন। অথবা, ২ মিলি ১ লিটার পানিতে ২ দিন।
• ক্বুতর হাঁটা চলা না করা। রোদে না থাকায় প্রচুর আলো বাতাস না পেলেও এই রোগ হতে পারে।