07/04/2025
আস্সালমুয়ালাইকুম সবাইকে
বর্তমান সময়ে একটা পোস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে, সেই আলোতে আমরা আমাদের জায়গা ক্লিয়ার রাখতে চাই । একটু সময় দিয়ে পুরোটি পড়ে বিবেচনা করবেন ।
৩০, মার্চ
একটা কাস্টমার (পোস্টদাতা) উনার রুম বুকিং করা ছিল । ঈদের আগে, তাই কাস্টমারের প্রেসার ছিলো, এবং আমরা ছিলাম understaffed. সে মুহূর্তে staff ছিলেন ফোস্টারে । উনি আসার পর আমরা বলি, যে উনার রুমে এখনও বিড়াল আছে (কিছুক্ষন আগে একজন বুকিং ছাড়া ৭ টা বিড়াল দিয়ে যাই) আমাদের কিছু সময় দিতে, কাস্টমার বিদায় করে আমরা ডিপক্লিন এবং খালি করে উনার বিড়াল রাখব, সেটাতে তিনি নিন্দা প্রকাশ করেন ।
কাস্টমার আমাদের ছাড়া কোনও রুমে হুট করে প্রবেশ করা নিষেধ, কারণ বিড়াল বের হয়ে যাই, যার কারণে মারামারি হতে পারে, বা পালানোর চেষ্টা করতে পারে । তাও অনেকে ঢুকে যাই । একজন ১ ঘণ্টা আগে ওয়াশরুম ব্যবহার করেন । আমাদের ওয়াশরুমের দরজা লক করতে একটু প্রবলেম হয় (ছিটকানি খুলার পর লক করতে গেলে সহজে হয়না) । সে কাস্টমারটি এই ভুলটি করেন । উনার সাথে কথা হয়েছে । দরজা খুলা থাকার সে সুযোগ বিড়ালরা নেই । বিড়ালদের স্বভাব এমনই । যখন পোস্টদাতা দেখেন এই বিষয়টি, উনাকে আমরা বুঝিয়ে বলি । উনি বুঝে শুনে তারপর বিড়াল রেখেছেন । যদি আমরা আসলেই বিড়াল ফস্টার করে থাকি ওয়াশরুমে, তাহলে উনি কেন রেখেছেন আমাদের কাছে ?
আরেকটি বিষয়, ওয়াশরুম টাইলসের কালার এমন, ময়লা ছিলনা । সেদিনও ক্লিনিং হয়েছে । ভেরিফাই করতে পারেন সেটা । আমরা ভিডিও দিবো ।
উনি যখনই চেয়েছেন, তার কিছুক্ষন পরে আপডেট দাওয়া হয়েছে । সিসিটিভি ফুটেজ, ইভেন ঈদের দিন উনাকে দুইবার আপডেট দাওয়া হয়, একবার ভিডিও কলে । সকালেও আমরা নামাজের পর ১২ টার দিকে দেখাতে চাই ভিডিও কলে, তখন উনি ব্যস্ত ছিলেন বোধহয় ।
৩ এপ্রিল
সেদিনও কাস্টমার প্রেসার ছিলো, হুটহাট রুমে ঢুকে যাচ্ছিলো সবাই । এই সুযোগে দুইটা বিড়াল ঢুকে যাই উনার রুমে । আমরা তা খেয়াল করিনি, এবং সেটার জন্য পুরাপুরি আমরা দায়ী । প্রথমে উনি পেমেন্ট করতে চাননি । উনি আমাদের নানান ধরনের হুমকি দিচ্ছিলেন । এটা বলেন যে পেমেন্ট উনি এখন করবেন না, পরে করবেন । প্রথমে আমরা সেটাতে রাজি হয়না । নিজেদের মধ্যে ডিসকাস করার পর আমরা বলি পেমেন্ট করতে হবেনা । ততক্ষনে তিনি পেমেন্ট করে ফেলেছিলেন । উনি রাগ করে চলে যান । আমরা উনার থেকে বিকাশ নম্বর খুঁজি এবং উনি আমাদের বলেন উনার নম্বরটাই বিকাশ ।
উনার রুমে বিড়াল ঢুকে যাই সেদিন । সেটি আমাদের দোষ । কিন্তু ওয়াশরুমে বিড়াল ফস্টার করি আমরা, এটি মিথ্যা অপবাদ, তার জন্য আমরা কোনও ভাবে দায়ী নয় ।
নতুন জায়গাই বিড়ালের ৩ রকম সমস্যা হয় । ফ্লি, খাবার একদম কম খাওয়া, এবং ঠান্ডা । নতুন জায়গাই বিড়ালরা ভয় পাই, অচেনা মানুষ, অচেনা পরিবেশ, তারা একদমই খাইনা প্রথম কিছুদিন । নতুন জায়গাই টেম্পারেচারে তারা এডজাস্ট করতে সময় লাগে । বিড়াল আনা নাওয়াতে একটা বাতাস লাগে, যার কারণে ঠান্ডার সমাস্যা হয় । শীতকালে প্রত্যেক রুমে আমরা হিটার ইউজ করেছি ২৪ ঘণ্টা । তাও ঠান্ডার সমাস্যা হয়েছে । সব বিড়ালদের ক্ষেত্রে আমরা মালিককে বলি, ইন্টারনাল কোনও প্রবলেমের liability আমরা নিবনা । কোনও ইনজুরি হলে আমরা সেটার লিয়াবিলিটি নিবো । একজন বলেছেন ২ দিন রাখার পর উনার বিড়ালের ইয়ার মাইটস সহ নানান ধরনের ইনফেকশন হয়েছে । এসব ইনফেকশন ১-২ দিনে হয়না । আরও বেশ কিছুদিন আগের থেকে থাকে , এবং সেটি বৃদ্ধি পাই । অনেকে ভাবেন আমরা খাবার দিয়না, একটা বিড়ালের খাবার না দিয়ে আমাদের কতই বা লাভ হবে? বাচ্চা বিড়ালদের ক্ষেত্রে আমরা বলি না রাখতে , অনেক রিস্কি । অন্য বিড়ালের germs ওকে এফেক্ট করতে পারে । যেহুত ছোট, ওদের immune সিস্টেম দুর্বল । তাও অনেকে রাখেন নিজেদের রিস্কে ।
বিড়াল ফস্টার করা অনেক সেনসিটিভ এবং ক্রিটিকাল একটা বিষয় । এখানে ২ বেলা ফুল ক্লিনিং, ৩ বার লিটার পরিষ্কার, বাইরে পি পটি করলেই ক্লিনিং করতে হয় । ডাক্তার প্রায় সময়ে চেকআপের জন্য আসলেও নতুন বাচ্চাদের কেয়ার নেওয়া অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার ।