02/05/2025
                                            অনেকে প্রশ্ন করেন গরুকে কৃমির ইনজেকশন দিবেন নাকি কি ট্যাবলেট খাওয়াবেন? 
আমার ক্ষেত্রে আমি যেটা করি সেটা হলো পেটের কৃমির জন্য ট্যাবলেট কলিজা কৃর্মির জন্য ইনজেকশন এবং বুস্টার ডোস হিসেবের আইভার মেকটিন গ্রুপের ইনজেকশন দিয়ে মোট তিন ভাবে কৃর্মি মুক্ত করি। 
যেমন ধরেন আমি হাত থেকে একটা গরু কিনে আনলাম তারপর আমি তাকে দুই তিন দিন রেস্ট দেই তার কোন সমস্যা আছে নাকি দেখি। 
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতি ৫০ কেজি ওজনের জন্য একটা রেনাডেক্স ট্যাবলেট দেই। 
ট্যাবলেট দেওয়ার ৮ থেকে ১০ দিন পর কলিজা কৃমির জন্য চামড়ার নিচে নাইট্রোনেক্স ইনজেকশন দেই প্রতি ৫০ কেজির জন্য দেড় মিলি করে। 
কলিজা কৃর্মির ইনজেকশন দেওয়ার ঠিক ২১ দিন পর আবার আইভার মেকটিন গ্রুপের এমেকটিন প্লাস ইনজেকশন প্রতি ৫০ কেজি ওজনের দের মিলি করে চামড়ার নিচে দেই।
আর এর পরেই আমি নিশ্চিত হতে পারি আমার গরুটি পুরোপুরি কৃর্মি মুক্ত হয়েছে।
যেহেতু আমি গরু সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মাস পালন করি তাই আমার কাছে মনে হয় গরু সঠিক ভাবে কৃর্মি মুক্ত না হলে আমি আশানুরূপ তাকে মোটাতাজা করতে পারবেনা।
যেহেতু আমি আমার গরুর খাওয়া দাওয়া লালন পালন চিকিৎসা সব কাজ নিজেই করি তাই আমি যেভাবে ভালো ফলাফল পাই আমি সেটাই করি। 
আমি কখনো কাউকে আমার নিয়ম ফলো করতে বলি না আপনারা অবশ্যই আগে একজন ভালো ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর কৃর্মি মুক্ত করবেন।
এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে একটা গুরুর কৃমি দূর করতে এত কিছু করা লাগবে কেন? 
অনেকের কাছে এটা মশা মারতে কামন আনার মত অবস্থা মনে হতে পারে।
তাদের জন্য একটু বিস্তারিত ভাবে বলি। 
গরু তথা সকল গবাদিপশু শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরজীবি বা কৃমি বসবাস করে। গরুর বাসস্থান ও খাদ্যাভ্যাসের কারনে গরুর শরীরে কৃমির আক্রমণ ও বিস্তার বেশি ঘটে।
গরুর শরীরের পরজীবি গুলোকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- ১. অন্তঃ পরজীবি, ২. বহিঃ পরজীবি।
গরুর অন্তঃ পরজীবি
গরুর শরীরের অভ্যন্তরে যে সকল কৃমি বা পরজীবি বসবসা করে তাদেরকে অন্তঃ পরজীবি বলে। গরুর পেট বা রুমেনে, গরুর লিভারে, গরুর চোখে ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন রকমের কৃমি পাওয়া যায়। গরুর অন্তঃ পরজীবি তুলনামুলক বেশি ক্ষতি সাধিত করে।
গরুর বহিঃ পরজীবি
গরুর শরীরের বাইরের অংশে তথা চামরার উপরে কিছু পরজীবি বসবাস করতে দেখা যায় এদের কে বহিঃ পরজীবি বলে। এদের মধ্যে উকুন বা আঠালী অন্যতম।