VET WALI

VET WALI Finding joy in the little things

L*D
17/05/2025

L*D

29/03/2025
23/01/2025

কম টাকায় আধুনিক গরু সেট তৈরি করতে হলে সঠিক পরিকল্পনা, স্থান নির্বাচন, এবং স্থানীয় উপকরণের ব্যবহার করতে হবে। নিচে ধাপে ধাপে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
১. স্থান নির্বাচন ও প্রস্তুতি
- একটি উঁচু ও শুকনো স্থান নির্বাচন করুন, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না।
- জায়গাটি পরিষ্কার করুন এবং গরুর জন্য পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
২. *সল্পমূল্যের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার
- গরুর শেড (ছাউনি):
- ছাউনির জন্য টিন, বাঁশ, অথবা সিমেন্টের শিট ব্যবহার করতে পারেন।
- কাঠের বদলে বাঁশ বা সস্তা লোহার খুঁটি ব্যবহার করুন।
- ছাদের ঢাল এমন রাখুন যাতে বৃষ্টির পানি সহজে গড়িয়ে পড়ে।

- মেঝে:
- সিমেন্টের পরিবর্তে মাটির মেঝে তৈরি করতে পারেন এবং তার ওপর খড় বা বালু দিয়ে ঢেকে দিন।
- তবে, দীর্ঘমেয়াদে সিমেন্টের মেঝে হলে ভালো।
৩. জল ও খাদ্যের ব্যবস্থা
- পানির জন্য বড় ড্রাম বা সিমেন্টের তৈরি জলাধার ব্যবহার করুন।
- খাদ্যের জন্য আলাদা মাটির বা কাঠের তৈরি ট্রে ব্যবহার করুন।
৪. পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা
- শেডের দেয়ালে কৃত্রিম জানালা বা খোলা অংশ রাখুন, যাতে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস ঢোকে।
৫. স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার
- নির্মাণের জন্য স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য বাঁশ, খড়, পাটখড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
- সিমেন্ট এবং রডের পরিবর্তে মজবুত বাঁশের কাঠামো ব্যবহার করলে খরচ অনেক কমবে।
৬. গরুর সুরক্ষা.....
- গরুর বেঁধে রাখার জন্য জোড়া বাঁশ বা কাঠ ব্যবহার করুন।
- শেডের চারপাশে বেড়া দিন, যাতে গরু বাইরে চলে না যায়।

15/01/2025

অনেকে প্রশ্ন করেন গরুকে কৃমির ইনজেকশন দিবেন নাকি কি ট্যাবলেট খাওয়াবেন?
আমার ক্ষেত্রে আমি যেটা করি সেটা হলো পেটের কৃমির জন্য ট্যাবলেট কলিজা কৃর্মির জন্য ইনজেকশন এবং বুস্টার ডোস হিসেবের আইভার মেকটিন গ্রুপের ইনজেকশন দিয়ে মোট তিন ভাবে কৃর্মি মুক্ত করি।

যেমন ধরেন আমি হাত থেকে একটা গরু কিনে আনলাম তারপর তাকে দুই তিন দিন রেস্ট দেই তার কোন সমস্যা আছে নাকি দেখি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতি ৪০ কেজি ওজনের জন্য একটা রেনাডেক্স ট্যাবলেট দেই।
ট্যাবলেট দেওয়ার ৮ থেকে ১০ দিন পর কলিজা কৃমির জন্য চামড়ার নিচে নাইট্রোনেক্স ইনজেকশন দেই প্রতি ৫০ কেজির জন্য দেড় মিলি করে।
কলিজা কৃর্মির ইনজেকশন দেওয়ার ঠিক ২১ দিন পর আবার আইভার মেকটিন গ্রুপের
ইনজেকশন প্রতি ৫০ কেজি ওজনের দের মিলি করে চামড়ার নিচে দেই।
আর এর পরেই আমি নিশ্চিত হতে পারি আমার গরুটি পুরোপুরি কৃর্মি মুক্ত হয়েছে।
যেহেতু আমি গরু সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মাস পালন করি তাই আমার কাছে মনে হয় গরু সঠিক ভাবে কৃর্মি মুক্ত না হলে তাকে মোটাতাজা করতে পারবেনা।
আমি কখনো কাউকে আমার নিয়ম ফলো করতে বলি না আপনারা অবশ্যই আগে একজন ভালো ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর কৃর্মি মুক্ত করবেন।

এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে একটা গুরুর কৃমি দূর করতে এত কিছু করা লাগবে কেন?
অনেকের কাছে এটা মশা মারতে কামন আনার মত অবস্থা মনে হতে পারে।
তাদের জন্য একটু বিস্তারিত ভাবে বলি।

গরু তথা সকল গবাদিপশু শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরজীবি বা কৃমি বসবাস করে। গরুর বাসস্থান ও খাদ্যাভ্যাসের কারনে গরুর শরীরে কৃমির আক্রমণ ও বিস্তার বেশি ঘটে।
গরুর শরীরের পরজীবি গুলোকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা হয়।
যথা- ১. অন্তঃ পরজীবি, ২. বহিঃ পরজীবি।

গরুর অন্তঃ পরজীবি
গরুর শরীরের অভ্যন্তরে যে সকল কৃমি বা পরজীবি বসবসা করে তাদেরকে অন্তঃ পরজীবি বলে। গরুর পেট বা রুমেনে, গরুর লিভারে, গরুর চোখে ইত্যাদি জায়গায় বিভিন্ন রকমের কৃমি পাওয়া যায়। গরুর অন্তঃ পরজীবি তুলনামুলক বেশি ক্ষতি সাধিত করে।

গরুর বহিঃ পরজীবি
গরুর শরীরের বাইরের অংশে তথা চামরার উপরে কিছু পরজীবি বসবাস করতে দেখা যায় এদের কে বহিঃ পরজীবি বলে। এদের মধ্যে উকুন বা আঠালী অন্যতম। বহিঃ পরজীবি নানাভাবে গরুর ক্ষতি করে। রক্ত চুষে খায় ও গরুর বিভিন্ন স্কিন ডিজিস তৈরি করে। গরুর বহিঃ পরজীবি তুলনামুলক কম ক্ষতি করলেও এটিকে দমন করতে হবে।

গরুর কৃমির লক্ষণ
গরু অধিক পরিমানে কৃমিতে আক্রমণ করলে গরুর শরীরে বিভিন্ম লক্ষ্মণ প্রকাশ পায়। গরুর শারীরিক বৃদ্ধি তথা সকল উৎপাদন কমে যায়। গরুর অরুচি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। গরুর কৃমির লক্ষণ গুলো নিম্নরূপ-
১. গরুর খাবারে অরুচি থাকে।
২. ঘন ঘন পেট ফাঁপা বদহজম দেখা দেয়।
৩. গোবর শক্ত না হওয়া বা নরম পায়খানা করা।
৪. গরুর শরীরে রক্ত কমে গরু দুর্বল হয়ে যাওয়া।
৫. গরুর স্বাস্থ্যের উন্নতি না হওয়া।
৬. গাভী গরু হিটে না আশা।
৭. গাভী গরু বীজ কনসেপ্ট না করা। ইত্যাদি
গরুর কৃমি রোগ
গরুর কৃমি রোগ আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত রোগ। গরুর কৃমি রোগের মধ্যে অন্যতম হলো – কলিজা কৃমি রোগ বা ফ্যাসিওলিয়াসিস, প্যারামফিস্টোমিয়াসিস, গোলকৃমি বা নেমাটোডিয়াসিস ইত্যাদি।

গরুর কলিজা কৃমি রোগ (Fascioliasis)
গরুর কলিজা কৃমি সবচেয়ে ক্ষতিকর একটি পরজীবী। এটি লিভার বা কলিজাকে নষ্ট করে দিতে থাকে যার ফলে লিভারের কার্যকারিতা কমে যায় এতে গরুর ইৎপাদন কমে যায়।
আর কলিজায় থাকা কৃর্মি সাধারণ ট্যাবলেট দিয়ে দূর করা যায় না তাই এটার জন্য বাজারে আলাদাভাবে ইনজেকশন পাওয়া যায়।
এছাড়া অন্ত:ও বহি: পরজীবীর উকুন আঠালি ও চামড়া থাকা পরজীবীর জন্য আইভার মেকটিন গ্রুপের ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরের চামড়ায় ও ভেতরে বসবাস করা পরজীবী দূর করা হয় যেটা আমি কলিজা কৃর্মি ইনজেকশন দেওয়ার ২১ দিন পর আবার বুস্টার ডোস হিসাবে ব্যবহার করি।

কলিজা কৃমির জন্য সবচেয়ে কার্যকারি হলো নাইট্রক্সিনিল গ্রুপের ইনজেকশন। যেমন- নাইট্রোনেক্স ইনজেকশন (রেনাটা), নাইট্রক্সিনিল ইনজেকশন (এসিআই)। গ্রাম্য পশু ডাক্তারেরা আইভারমেকটিন ইনজেকশন কলিজা কৃমির জন্য ব্যবহার করে।
এটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় না। কেননা আইভারমেকটিন সকল অন্ত:ও বহি: পরজীবীর বিরুদ্ধে কাজ করে।
শুধু কলিজা কৃমির জন্য স্পেসিফিক ড্রাগ এটি না।

গরু বা ছাগলের বহী: পরজীবীর জন্য আইভারমেকটিন একটি ভালো ঔষধ। এটি পরজীবীর প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
আর প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হলে পরজীবী বংশ বিস্তার করতে পারে না ফলে পরজীবী একটি নির্দিষ্ট সময় পর এমনিতেই মারা যায়।

বাজারে প্রায় সকল ফার্মাসিক্যাল কম্পানিরই কৃমিনাশক ট্যাবলেট পাওয়া যায় যেমন।

ডাবোডেক্স বোলাস (এস্কেফ)
ইনডেক্স বোলাস (এলানকো)
এলটি-ভেট বোলাস (একমি)
রেনাডেক্স ভেট বোলাস (রেনেটা)
এন্টিওয়ার্ম ভেট বোলাস (এসিআই)
ইত্যাদি নামে বাজারে পাওয়া যায়।

সকালে খালি পেটে কৃমির ওষুধ খাওয়ালে সবচেয়ে ভাল হয়।
সকালে গরুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ালে তা বেশি কার্যকর হয়।
গরুকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় ট্যাবলেট টি গুড়া করে চিটাগুড় বা গুড়ের সাথে মাখিয়ে অথবা কলার পাতার সাথে মুড়িয়ে খালি পেটে খাওয়াতে হবে।

গরুকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর কমপক্ষে ১ ঘন্টা কোন ধরনের খাদ্য প্রদান না করলে ভালো হয়।
গরুকে কোনভাবেই দানাদার খাদ্যের সাথে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। গরুকে দানাদার খাদ্যের সাথে পানি মিশিয়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ালে ঔষধ তেমন কোন কাজ করে না। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ডোজে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানো ঠিক নয়।
যদিও কৃমিনাশক ট্যাবলেট নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান খাওয়ালেও গরুর তেমন কোন ক্ষতি হয় না।

গর্ভবতী গাভী বাচ্চা প্রদানের কমপক্ষে ৪৫ দিন পর কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। কোনভাবেই মাত্রার চেয়েও কম পরিমানে বা ডোজে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। মাত্রার চেয়ে কম খাওয়ালে কৃমি না মরে গিয়ে আরও বেশি করে আক্রমন করবে।
গর্ভবতী গাভীকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভধারনের আট মাসের উপর গর্ভবতী গাভীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো উচিত নয়। গরুকে তিন মাস পর পর কৃমির ট্যাবলেট বা ঔষধ খাওয়াতে হবে।

মনে রাখবেন যেদিন কৃর্মির ঔষুধ দিবেন তারপরের দিন সকালে থেকে উন্নত মানের লিভার টনিক ৫-৭ দিন দিতে হবে। তারপর ক্যালসিয়াম, জিংক, ভিটামিন এ,ডি, থ্রী বা ডিবি পাওডার খাওয়াতে হবে।
গরুর কৃমি মুক্তকরণের সাথে লিভার টনিকের একটি সম্পর্ক রয়েছে। কখনো কখনো গরুকে কৃমি মুক্ত করণের আগে এবং সবসময় গরুকে কৃমি মুক্ত করনের পরে লিভার টনিক ব্যবহার করলে গরু থেকে ভালো উৎপাদন পাওয়া যায়। গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বা ইউএমএস খাওয়ানোর আগে অবশ্যই কৃমিমুক্ত করণ করতে হবে।

সকলে নিজ নিজ টাইমলাইনে পোস্টটা শেয়ার করে রেখে দিন কারণ এখানকার প্রত্যেকটা কথাই গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাজে আসবে ইনশাল্লাহ।
এছাড়া যে কোন প্রয়োজনে মেসেজ বা কল করতে পারেন VET WALI তে।

Address

Katakhali Bazer. Rajshahi
Rajshahi
6212

Telephone

+8801858983618

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when VET WALI posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to VET WALI:

Share

Category