21/12/2024
আসসালামু আলাইকুম
‼️আজকে কিছু কথা বলতে চাই ফ্লু নিয়ে।
এটা পুরোটা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা। আমার ৫টা বিড়াল ফ্লু তে মারা গেছে, গত বছর আর এই বছর। লাস্ট দুটো বাচ্চা ফ্লু হয়ে মারা যাবার পথেই ছিল।এখন ওরা সুস্থ আলহামদুলিল্লাহ সেটা কিভাবে জানেন?
💥 আমি সেফ-৩ (১ml)(১০০টাকা মূল্য) দিনে একবার আর বাসায় ছিলো ইমিস্টেট ট্যাবলেট সেটা গুড়ো করে এক ভাগ খাইয়ে দিতাম।(বমি হলে)
💥বাসায় হট ওয়াটার ব্যাগ নাই তাই হাসপাতালে থাকা স্যালাইনের ব্যাগ এনে পানি সিরিঞ্জে ঢুকিয়ে পানিতে ব্যাগটা সিদ্ধ করে ফুটিয়ে ওর বুকের নিচে দিয়ে সারাদিন চুলার পাশে ওরে বসায় রাখতাম।
💥শ্বাসকষ্ট উঠছিল,গ্যাস দেওয়ার মত সিচুয়েশন ছিলোনা। আমি সারাদিন চুলায় পানি বসায় রাখতাম প্রতি ৩০মিনিট পরে পরে ওর নাকে কাছে ধরতাম।যাতে ওর গরম ভাপ্টা নাকে যায়।
💥আর সারাদিন স্যালাইন পানি আর চিকেন স্টক(মুরগির গলা কিনে সেটার সিদ্ধ পানি দিতাম) খাওয়াইতাম। (প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পরে পরে)
আলহামদুলিল্লাহ ৫দিনে আমার দুটো ফ্লু বাচ্চা সুস্থ!!!
💥প্রথম বাচ্চাটা আমজ সেফ-৩ খাইয়ে সুস্থ করতে করতে অন্যটা ফ্লু হিয়ে যায়। তাই আমি কিন্তু ডক্টর ও দেখাইসিলাম ডক্টর এর দেয়া প্রেস্ক্রিপশন অনুযায়ী অন্য বাচ্চাটাকে ইঞ্জেকশন দেওয়াটা খুব কষ্টকর ছিলো যা আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল।
পরে ডক্টর কে বলে আমি অন্য বাচ্চাকেও সেফ-৩ সিরাপ দেই। কিন্তু হ্যা ওরা যখন একবারেই খাচ্ছিলোনা আমি তখন দুইদিন ওদের চামড়ার নিচে নরমাল স্যালাইন পুষ করি। এটা অনেক কাজে দিয়েছিল।
সবাইকে বলবো ওদের চিকিৎসাটা অনেকেই কঠিন ভাবেন। আবার ব্যয়বহুল ও ভাবেন।এইভাবে প্রতিবছর অনেক বাচ্চা মারা যায়। বাসায় খুব অল্প খরচে ওদের একটি যত্ন নিলেই বাচ্চাগুলা বেচে যাবে।
ভুলত্রুটি মাফ করবেন, আমি অভিজ্ঞ না, শুধু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। আপনাদের প্রয়োজনে অবশ্যই অনালাইনে ডক্টর দেখিয়ে ঔষধ খাওয়াবেন।