14/05/2025
# # # ১. **কুরআন-হাদীসে দলীল**
- **সহীহ হাদীস:**
- হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন: *"আমরা মদিনার নিকটে একটি স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। এক ব্যক্তি খরগোশ শিকার করে তা পেশ করলে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং খান।"* (সহীহ বুখারী, ৫৫৩৭; সহীহ মুসলিম, ১৯৫৩)
- হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত: *"রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খরগোশের গোশ্ত খেয়েছেন এবং তা হালাল বলেছেন।"* (সুনান আবু দাউদ, ৩৭৯১)
- **কুরআনের মূলনীতি:**
আল্লাহ তাআলা বলেন:
*"তোমাদের জন্য পৃথিবীর সমস্ত পবিত্র ও হালাল জিনিস বৈধ করা হয়েছে।"* (সূরা আল-বাকারা, ২:১৬৮)
খরগোশ কোনো নিষিদ্ধ প্রাণী নয়, বরং এটি শুদ্ধ ও হালাল খাবারের অন্তর্ভুক্ত।
# # # ২. **ফিকহের ৪ মাযহাবের দৃষ্টিভঙ্গি**
| **মাযহাব** | **বিশেষ শর্ত/ব্যাখ্যা** |
|------------|--------------------------|
| **হানাফী** | খরগোশ হালাল, তবে শিকার করার সময় "বিসমিল্লাহ" বলা জরুরি। |
| **শাফেয়ী** | সম্পূর্ণ হালাল, কোনো অতিরিক্ত শর্ত নেই। |
| **মালেকী** | হালাল, তবে জংলি খরগোশের চেয়ে পোষা খরগোশ খাওয়া উত্তম। |
| **হাম্বলী** | হালাল, এবং রাসূল (ﷺ)-এর সুন্নাহ হিসেবে বিবেচ্য। |
# # # ৩. **বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত দিক**
- খরগোশের গোশ্তে **কম চর্বি** ও **উচ্চ প্রোটিন** রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- এটি অন্যান্য লাল মাংস (গরু, খাসি) এর চেয়ে হজমে সহজ।
- ইসলামী শরীয়ত যেহেতু এটি অনুমোদন করেছে, তাই স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নেই (শর্তসাপেক্ষে যথাযথভাবে জবাই করা হয়েছে)।
# # # ৪. **আধুনিক সময়ে প্রযোজ্যতা**
- **পশ্চিমা দেশে:** অনেক মুসলিম খরগোশের গোশ্ত এড়িয়ে চলে (অজ্ঞতা বা সংস্কৃতির প্রভাবে), যদিও এটি হালাল।
- **মENA (মধ্যপ্রাচ্য) অঞ্চলে:** কিছু দেশে (যেমন মরক্কো, আলজেরিয়া) ঐতিহ্যগতভাবে খরগোশ খাওয়া হয়।
- **বাংলাদেশ/ভারতে:** সাধারণত খরগোশ খাওয়ার প্রচলন কম, তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ।