
14/08/2025
খাচার ভেতরে বন্দি প্রাণীটার আশেপাশে এতো ইটের- সুরকি এলো কোথা থেকে?
প্রতিটি ইটের সুরকি একেকজন মানুষের বিনোদন চাহিদার চিহ্ন। টাকা খরচ করে এই অপরিচিত প্রাণীটা দেখতে এসে তাকে বিশ্রাম করতে দেখলে হিউম্যান সাইকোলজিতে ইরিটেশন ট্রিগার করে। এক টুকরো ইট গায়ে লাগাতে পারলে যদি সে ব্যাথা পেয়ে একটা দৌড় দেয় বা দাত খিচিয়ে ডিফেন্সিভ রিয়েকশন দেখায় তবেই পয়সা উসুল হয়। সাথে বাচ্চা থাকলে তারাও এন্টারটেইনড হয়ে হাততালি দেয়। বিজয়ীর বেশে ইট মারা মানুষটা পরের খাচার দিকে চলে যায়। তার স্থানে চলে আসে আরেকটা মানুষ। এভাবেই চলতে থাকে বিনোদন।
আজ বাবার কাছ থেকে প্রাণীদের প্রতি এই আচরন দেখে কোলের বাচ্চাটা একই আচরন শেখে। বড় হয়ে সেও এদের সাথে একই আচরন করে। এর মাঝে কোন রিগ্রেট ফিল হয়না। কারন এভাবেই চলে আসছে।
সব কিছু বাদ দিয়ে প্রথমে ছবির খাচায় আটকানো এই ছোট্ট প্রাণীটার দিকে একবার ভালোভাবে চেয়ে দেখেন। তারপর তারপাশের ইটের সুরকিগুলো গোনা শুরু করেন। নিশ্চিতভাবে একটা পর্যায়ে আপনি ধৈর্য হারিয়ে গননা করা বাদ দিবেন।
অথচ চিন্তা করতে পারেন? এই ছোট্ট প্রাণীটাকে এখানেই এই প্রতিটা ইটের আঘাত সহ্য করতে হয়েছে। এবং এটা চলবে যতদিন সে জীবিত থাকবে। কিন্তু তার অপরাধটা কি?
চিড়িয়াখানাই একমাত্র জেলখানা, যেখানে নিশ্চিতভাবে প্রতিটি বন্দিই নিরপরাধ।
স্থান: মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র, বান্দরবান।
©তালাশ শাহনেওয়াজ।।